রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে শিশুসহ নিহত ১৮
০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ এএম | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেমে নেই, বরং সময়ের সঙ্গে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এবার ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ একটি আবাসিক এলাকায় রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ-তে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়ার বাহিনী। এই হামলায় ৬ শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি নিজেই। এটি ২০২৪ সালের মধ্যে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হামলার সময় লক্ষ্য ছিল আবাসিক এলাকা, যেখানে সাধারণ মানুষ ঘুমিয়ে বা দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন।
নিপ্রোপেত্রভক্স অঞ্চলের গভর্নর সেরহি লিসাক জানিয়েছেন, আবাসিক ভবনগুলোর একাংশ ধসে পড়ে এবং সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের একজন মাত্র তিন মাস বয়সী শিশু। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় পড়ে আছে নিহত ও আহত মানুষের দেহ, আকাশে উড়ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আর কাছেই একটি শিশুদের খেলার মাঠ—সব মিলিয়ে যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এক বিভীষিকাময় দৃশ্য। এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই না হলেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা সহজেই অনুমেয়।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের অস্ত্র সাধারণত কয়েক মিনিটেই লক্ষ্যে পৌঁছায় এবং অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া প্রতিহত করা কঠিন। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে—এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশি প্রশিক্ষকদের সমাবেশ, যেখানে ৮৫ জনের বেশি “বিদেশি সেনা” নিহত এবং ২০টিরও বেশি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে।
এই হামলার পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন মস্কোর ওপর আরও কড়া চাপ প্রয়োগের জন্য। এমন এক সময়ে এই হামলা চালানো হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে—শান্তির উদ্যোগ যতই নেওয়া হোক না কেন, বাস্তবতা ভিন্ন। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

চাঁদপুরে মিষ্টি তৈরিতে ভেজাল, দুই দোকানির জরিমানা

প্যালেস্টাইনে গণহত্যায় ভারতের প্রতিক্রিয়া নিযে যা বললেন পিনাকী

মতলবে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মাফিয়া শেখ তাপসের অবস্থান জানালেন ডিবি হারুন!

নিকলীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার আসামি গ্রেফতার

নাটোরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিডিআর জওয়ানদের জামিনের আদেশ ফের পেছাল

ঘোড়াঘাটে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৩৩ জন

পানামা খাল চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে না : যুক্তরাষ্ট্র

সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্লাটিনাম রিজার্ভ মেটাল ক্রেডিট কার্ড-বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস মেটাল কার্ড

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি ঘোষণা বিএনপির

দেশের সব মাদরাসায় দুই দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশ

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর বাংলাদেশি পণ্যবাহী ৪ ট্রাক ফেরত পাঠাল ভারত

রাজনগরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শিলাবৃষ্টির আশংকায় দুশ্চিন্তায় কৃষক

রাবির ভর্তি ফরম বিক্রিতে রেকর্ড আয়: এক মৌসুমেই ৩১ কোটি টাকা!

নীলফামারীর বিএনপি নেতা তুহিনের নির্দেশে তিস্তার বালুর বাধ পরিদর্শনে ডিমলা উপজেলা বিএনপি

পাঁচবিবিতে এসএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ৫৫ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত

টাঙ্গাইলে ৮৫টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলছে

দিনাজপুরে এলজিইডি ভবনে আগুন, আটকে পড়া দুজন উদ্ধার

মোমবাতি জ্বালিয়ে বীরগঞ্জে এসএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন